লেখক হিসেবে সফল হওয়া কোনো সহজ বিষয় নয়। আর এক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হাভার্ড-এর মনোবিদ স্টিভেন পিংকার ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। পাঠকদের জন্য থাকছে সে ছয়টি বিষয়, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করে ভালো লেখক হওয়া সম্ভব। স্টিভেন পিংকার আধুনিক বিশ্বের সেরা ১০০ মনোবিদের একজন। বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে এ লেখায় থাকছে ভালো লেখক হওয়ার জন্য তার ছয়টি পরামর্শ-
১. দৃশ্যমান ও আলোচনাপূর্ণ হোন
মানুষের মস্তিষ্কের এক-তৃতীয়াংশ দৃশ্যের জন্য পৃথক করা। আর তাই আপনার লেখার মাধ্যমে পাঠক যেন ‘দেখতে পায়’, এটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘আলোচনা’। আপনার আলোচনার মাধ্যমে কোনো বিষয়কে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা সম্ভব। বহু মানুষই অন্যকে আকর্ষণ করার জন্য এ পদ্ধতি ব্যবহারের চেষ্টা করে।
২. জ্ঞানের অপকারিতা থেকে সতর্ক থাকুন
আপনার মস্তিষ্ক কোনো বিষয় পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ হতে পারে। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা। আপনি কোনো বিষয় জানেন। এক্ষেত্রে আপনার ধারণা হতে পারে, অন্যরাও তা জানে। আর এর ফলে আপনার লেখার মান খারাপ হয়ে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে সহজ একটি সমাধান হতে পারে, আপনার লেখার সম্ভাব্য কোনো পাঠকের কথা চিন্তা করা। কাউকে পড়তে দিন আপনার লেখাটি। এতে তার যেখানে যেখানে প্রশ্ন তৈরি হবে, তা চিহ্নিত করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। এ কারণে পেশাদার লেখকরা লেখা সম্পাদনা করার জন্য ভিন্ন মানুষকে নিয়োগ করেন।
৩. শিরোনাম কবর দেবেন না
সাংবাদিকতার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক্য এটি। শিরোনামের পর মূল লেখা শুরু করতে দেরি করা উচিত নয়। বাড়তি কথা বাদ দিন। লেখার শুরুতেই সরাসরি আপনার বিষয়বস্তুতে চলে যান। অন্যথায় আপনার লেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে পাঠক। আপনি কোন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন, তা আগে বুঝতে দিন। অন্যথায় এ বিষয়ে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করলেও তা কার্যকর হবে না।
৪. নিয়ম ভাঙার আগে তা জেনে নিন
ভাষার কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে। এ নিয়মগুলো শিখে নিন। সরাসরি নিয়ম ভাঙা শুরু করলে তা ভালো ফল বয়ে আনে না। সবার আগে প্রয়োজন নিয়ম রক্ষা করা।
৫. পড়া, পড়া আর পড়া
বহু সফল লেখকই কোনো নিয়ম শিখে বড় লেখক হননি। তাহলে তারা কিভাবে হলেন? তারা একটা কাজ করতেন তা হলো- অসংখ্য বই পড়া। পড়ার কোনো বিকল্প নেই। যত পড়বেন, আপনার দক্ষতা ততই বাড়বে।
৬. ভালো লেখা মানে ‘সংশোধিত লেখা’
কোনো লেখাই প্রথমে ভালো লেখা থাকে না। প্রথমে একটি খসড়া লিখতে হয়। এরপর সে লেখাকে নানা সংশোধনের মধ্য দিয়ে ঠিক করা হয়। প্রচুর সময় ব্যয় করে এ কাজটি করতে হয়। ভালোভাবে সংশোধন না করে কোনো লেখা প্রকাশ করা মানে, নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা। আর তাই সতর্ক হোন। একবার লেখার পর তা বারবার পড়ে দেখুন। প্রয়োজনমতো সংশোধন করুন।